অনলাইন ডেস্ক : জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার শুনানিতে আজ বুধবার কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ থাকলেও তাকে হাজির করা হয়নি।

গত ১৩ মার্চ রাজধানীর বকশীবাজারে আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান ২৮ ও ২৯ মার্চ খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করার জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। তবে গণমাধ্যমকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবদুল্লাহ আবু জানিয়েছেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়াকে আজ আদালতে হাজির করা হচ্ছে না।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাটি বর্তমানে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এ বিচারাধীন রয়েছে। আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম মুলতবি করেছে আদালত।

এদিকে, খালেদা জিয়ার হাজিরাকে ঘিরে বুধবার সকাল থেকেই র‌্যাব ও পুলিশের সদস্যরা বকশীবাজার মাঠ এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরি করে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক আখতারুজ্জামান আদালতে হাজির হন। নিরাপত্তার কারণে আশপাশের দোকানপাট থেকে শুরু করে রাস্তাগুলোতেও জনসাধারণ চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়। যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

এর আগে ২২ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় দুদকের পক্ষ থেকে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারির আবেদন করা হয়। ওই আবেদনের ওপর ২৬ ফেব্রুয়ারি শুনানি হয়। ওই দিন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারির বিরোধিতা করেছিলেন। শুনানি শেষে ১৩ মার্চ আদালত খালেদা জিয়াকে হাজিরের এ আদেশ দেন।

চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামির সর্বোচ্চ সাজা অর্থাৎ ৭ বছর কারাদণ্ড দাবি করে দুদক প্রসিকিউশন। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করে দুদক।

উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসানকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। এ মামলায় অন্য আসামি খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। রায়ের পর খালেদা জিয়াকে রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়। বর্তমানে খালেদা জিয়া সেখানেই বন্দি রয়েছেন। ১২ মার্চ খালেদার চার মাসের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেন উচ্চ আদালত। ১৯ মার্চ আপিল বিভাগ ৮ মে পর্যন্ত খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিত করেন।