অনলাইন ডেস্ক :

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ক্রিকেটের মহা তারকা সাকিব আল হাসান। উইন্ডিজের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজ খেলতে দল নিয়ে এখন সাত সমুদ্র তের নাদী দূরে আমেরিকায় অবস্থান করছেন তিনি। বিদেশের মাটিতে থাকলেও কিন্তু দেশের ব্যাপারে ঠিকই খোঁজ খবর নিচ্ছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।

বিশেষ করে নিরাপদ সড়কের দাবিতে ঢাকায় চলা শিক্ষার্থীদের টানা আন্দোলন নিয়ে দারুণ গর্বিত বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-২০ দলের অধিনায়ক। শুক্রবার বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পাতায় সেই গর্বের কথা তিনি জানিয়েও দিয়েছেন।

তরুণ ভক্তদের উদ্দেশে সাকিব লেখেন, ‘আমি এখন ফ্লোরিডায় আছি। আজ এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে আমার তরুণ ফ্যানদের উদ্দেশ্যে কিছু বলতে চাই। গত ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাস চাপায় দুই স্কুল শিক্ষার্থী দিয়া ও আবদুল করিম নিহত হওয়ার ঘটনায় আমি প্রচণ্ড মর্মাহত ছিলাম। কিন্তু যখন দেখলাম তার সহপাঠী থেকে শুরু করে সারাদেশের ছাত্রছাত্রীরা দোষীদের শাস্তি দাবি ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে, তখন গর্ববোধ করেছি বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে। দেশে থাকলে আমিই তোমাদের অটোগ্রাফ নেয়ার জন্য চলে আসতাম।’

এদিকে তরুণদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ নিয়েও সচেতন সাকিব। তাই আন্দোলনের সফলতা অর্জনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে সাকিব তরুণদের পড়ার টেবিলে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সাকিব লেখেন, তোমাদের সাধুবাদ জানিয়ে বলতে চাই, তোমাদের দাবি কার্যকর হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিহত পরিবারকে আর্থিক সহায়তা ছাড়াও নিরাপদ সড়ক আইন করতে আন্তরিকভাবে কাজ করছেন। ইতোমধ্যে অভিযুক্ত পরিবহনের রুট পারমিট বাতিল সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ অবস্থায় তোমাদের কাছে বিনীত অনুরোধ করবো, ক্লাসে ফিরে পড়াশোনায় মনোনিবেশ করতে। তোমরা যা করেছ তা এদেশে ইতিহাস হয়ে থাকবে। এ অর্জন সফল হবে তোমাদের পড়ার টেবিলে ফিরে যাওয়ার মাধ্যমে।’


এদিকে শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হলে ভবিষ্যতের আন্দোলনে তিনি নিজেও রাস্তায় নেমে পড়তে চান। সাকিব লেখেন, ‘তোমাদের দাবি পূরণ হয়েছে এবং হচ্ছে। ব‍্যত‍্যয় ঘটলে আমাকে পাবে তোমাদের সাথে।’

উল্লেখ্য, শহীদ রমিজ উদ্দীন কলেজের দুই শিক্ষার্থী বাস চাপায় নিহত হলে ৯ দফা দাবি নিয়ে গত ছয় দিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করছে বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের জনগণ, সরকার ও প্রশাসনের সমর্থন দেখা গেছে। প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে নিহত দুই শিক্ষার্থীর পরিবারের হতে ৪০ লাখ টাকার পারিবারিক সঞ্চয়পত্র তুলে দিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দাবি মেনে নিয়ে তা বাস্তবায়নে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশও দিয়েছেন।