অনলাইন ডেস্ক : শীঘ্রপতন নিয়ে অনেকেই হীনমন্যতায় ভোগেন। সঙ্গীনিকে খুশি করতে না পারার বেদনা অনেক পুরুষের। কিন্তু কেন এমন হয়! জবাব ও সমাধানের উপায় মিলেছে এক ব্রিটিশ গবেষণায়।
ব্রিটেনে প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের ২০-৩০ শতাংশ শীঘ্রপতনের শিকার। আর এর জেরে তাঁরা ভোগেন হীনমন্যতায়। একটি সাম্প্রতিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমন তথ্য। সমীক্ষাটি চালিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থা ল্যাড বাইবেল।
ওই সমীক্ষায় বলা হয়েছে, শীঘ্রপতনের শিকার পুরুষদের দুই ভাগে ভাগ করা যায়। একদল পুরুষ রয়েছে, যারা যৌনসঙ্গম করার আগেই শেষ হয়ে যায়। অর্থাৎ লিঙ্গ নিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করলেই বীর্য বেরিয়ে যায়। দ্বিতীয় একদল পুরুষ আছে, যারা সঙ্গম করতে পারে ঠিকই, কিন্তু তিন মিনিটের কম সময়ে বীর্য পড়ে যায়। এর ফলে সঙ্গিনীর সঙ্গে মনোমালিন্য থেকে শুরু করে ডিভোর্স পর্যন্ত হয়।
ব্রিটিশ পুরুষদের এত বড় অংশ কেন শীঘ্রপতনের শিকার, তারও কারণ খোঁজা হয়েছে ওই সমীক্ষায়। দেখা গিয়েছে, শারীরিক এবং মানসিক, উভয় কারণই এ জন্য দায়ী। শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের পরিমাণে তারতম্য, হাই সুগার, থাইরয়েডের সমস্যা, স্নায়ুরোগ ইত্যাদি কারণে শীঘ্রপতন ঘটে। আশ্চর্যের বিষয় হলো— শীঘ্রপতনে ভোগা অধিকাংশ ব্রিটিশ পুরুষই জানেন না যে, তাঁদের এমন শারীরিক সমস্যা রয়েছে। শীঘ্রপতন আটকানোর জন্য ওষুধ ব্যবহার করেন। অথচ শীঘ্রপতন রোধে ওষুধ ব্যবহার না করে মূল রোগটি নির্মূল করলে শীঘ্রপতন আপনা থেকেই সেরে যেত।
মানসিক কারণে শীঘ্রপতন ঘটার মূলে রয়েছে উদ্বেগ। একদল পুরুষ আছেন, যাঁরা বিছানায় যাওয়ার আগে ভাবতে শুরু করেন সেক্স করে সঙ্গিনীকে সন্তুষ্ট করতে পারবেন কি না। এই ভাবনা থেকে জন্ম নেয় উদ্বেগ। আর উদ্বেগ থেকে বিছানায় তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যান তাঁরা।
এই সমীক্ষার সঙ্গে যুক্ত গবেষকরা আরও বলেছেন, কিছু পুরুষ আছেন, যাঁরা আদৌ শীঘ্রপতনে ভোগেন না। কিন্তু, শীঘ্রপতনে ভুগছেন ভেবে সঙ্গিনীর কাছে সিঁটিয়ে থাকেন। বিষয়টা একটু খোলসা করা যাক। ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অফ সেক্সুয়াল মেডিসিনের সংজ্ঞা অনুযায়ী, তিন মিনিট বা তার কম সময়ে বীর্য বেরিয়ে গেলে কোনও পুরুষ শীঘ্রপতনে ভুগছে বলে ধরা হয়।
কিন্তু, তিন মিনিটের বেশি বিছানায় টিকে থাকার পরও বহু ব্রিটিশ পুরুষ ভাবেন, সঙ্গিনীকে সন্তুষ্ট করতে গেলে এত কম সময় যথেষ্ট নয়। এই ভুল ভাবনা থেকে তাঁরা হীনমন্যতায় ভুগতে শুরু করেন। গবেষকদের বক্তব্য, কেউ যদি পাঁচ মিনিটও বীর্যধারণ করতে সক্ষম হন, তা হলে তিনি শীঘ্রপতনে ভুগছেন, এটা বলা যাবে না।
এবেলা.ইন