‘অনলাইন ডেস্ক : টালিউড অভিনেত্রী পূজারিনি ঘোষ বলেছেন, বর্তমানে সেলিব্রেটিরা ফ্যান নয়, ফলোয়ারের সংখ্যা বাড়াতে চায়। এই ফলোয়ারদের মধ্যে অনেকেই ছবির নিচে ইচ্ছে করে বাজে বাজে কমেন্ট করেন, যাতে সেই সব কমেন্ট ও মানুষগুলো সবার নজরে আসে। এটা এক ধরনের হিউম্যান সাইকোলজি। অনেকেই আমাকেই বলে হট ছবি দে, লাইক বাড়বে। আমরা সবাই যে যা কাজ করছি, নিশ্চয়ই চাই সবাই জানুক।

সম্প্রতি ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকায় দেওয়া একটি পত্রিকায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি। ইদানিং ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে অভিনেত্রীরা শ্যুটিংয়ের ছবি না দিয়ে খোলামেলা ছবি দেন কেন- এ প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন এ অভিনেত্রী।

বৃষ্টিভেজা দৃশ্য থাকলে সেসব ছবির জন্য সবার আগে আপনার নাম আসে কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে পূজারিনি বলেন, সেই দেবি কারানির যুগ থেকে আমরা জানি সেলুলয়েডে নায়িকা মানেই লাস্য আর রোম্যান্স। বৃষ্টি মানেই তো রোম্যান্স। সেখানে মানুষ আমার কথা ভাবলে ভালো তো। তার মানে আবার এটাও না যে, ছবির কাজ ছেড়ে কেবল বৃষ্টিভেজা মডেল হয়ে থেকে যাব।

রূপালি পর্দায় কাজ করতে গিয়ে কতোটা স্ট্রাগল করতে হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাড়ির সঙ্গে লড়াই চলেছে। ছোটবেলা থেকে অভিনয় করার বিষয়টি মনে মনে ঠিক করে নিয়েছিলাম। কিন্তু বাবা-মা একেবারেই এটা পছন্দ করেননি। তারপর ইন্ডাস্ট্রিতে ‘ওপেন টি বায়োস্কোপ’ ছবিতে অবজারভার হিসেবে থাকলাম। আমি ক্যামেরার পেছনে থাকছি দেখে সবাই খুশি। কিন্তু যেই ক্যামেরার সামনে এলাম সবার অবস্থান বদলে গেল। এখনও শুনতে হয়, ও আবার অভিনয়ও করছে! ও এতো ছবিতে কাজ পাচ্ছে কী করে? এই হলো অবস্থা। এসবের মধ্যেও অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের কাছে অনেক শিখেছি। পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ করতে করতে ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকার মন্ত্র জেনেছি। আর যার নাম না বললেই নয় তিনি আদিল হোসেন। কোনো স্ক্রিপ্টে কোথাও আটকে গেলে তাকে ফোন করি। তিনি যেভাবে আমাকে হেল্প করেন তা ভাবা যায় না।

আপনাকে সবাই সাহসী বলে কেন এ প্রশ্নের জবাবে পূজারিনি ঘোষ বলেন, সাহসী বললে তো ভালো। তবে কিছু আলাদা করে বোঝানোর জন্য আমি সাহসী হয়ে উঠিনি। হ্যাঁ, দেবারতি গুপ্তর ‘কুহেলী’ ছবিতে কিছু বোল্ড দৃশ্য ছিল।