প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস-ছবি: ডেইলি বাংলাদেশ

নিজেদের মাঠে চ্যাম্পিয়নের মতোই জয় দিয়ে প্রিমিয়ার লিগ শেষ করলো বসুন্ধরা কিংস । লিগের প্রথম ম্যাচ হারের পর আর পথ হারায়নি চ্যাম্পিয়নরা। 

শনিবার বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় শেখ জামালকে ২-১ ব্যবধানে হারায় বসুন্ধরা কিংস। চ্যাম্পিয়নদের হয়ে গোল করেন মতিন মিয়া ও রবসন রোবিনহো। জামালের হয়ে এক গোল শোধ দেন সোহান।

টানা ২১ ম্যাচ অপরাজিত থেকে পর পর তিনবার চ্যাম্পিয়ন হয়ে লিগ শেষ করল অস্কার ব্রুজোনের দল। 

ম্যাচের অষ্টম মিনিটে মতিন মিয়ার গোলে এগিয়ে যায় কিংস। বাম প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে ওঠেন রবসন রোবিনহো, নুহার সঙ্গে বল দেয়া নেয়া করে বক্সের বাম দিকে থাকা মতিনকে বাড়িয়ে দেন রোবিনহো। বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ডান পায়ের গতির শটে জাল খুঁজে নেন মতিন মিয়া। লিগে এটি তার চতুর্থ গোল। 

বিরতিতে যাওয়ার আগে ব্যবধান কমানোর সুযোগ এসেছিল জামালের সামনে। ওতাবেকের ছোট করে নেওয়া ফ্রিকিক বক্সে পেয়ে যান বদলি নামা সোহানুর রহমান সোহান। কিন্তু তার দুর্বল শট হামিদের গ্লাভসে জমা পড়ে।

দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণের ধারা বজায় রাখে কিংস। রোবিনহোকে থামাতেই ব্যস্ত থাকে জামালের রক্ষণভাগ। অবশ্য ৫২ মিনিটে তাকে আর থামাতে পারেনি। ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ডের গোলে ২-০ করে ফেলে কিংস। মতিন মিয়া থেকে নুহার পা ঘুরে বল পান রোবিনহো। বক্সে ছিল জামালের তিন ডিফেন্ডার তাই দেখে শুনে জায়গা তৈরি করে বক্সের বাইরে থেকে গতির শটে লক্ষ্যভেদ করেন রোবিনহো। লিগে এটি তার ১৬তম গোল। 

৬৮ মিনিটে গোলকিপার হামিদের ভুলে গোল খেয়ে বসে বসুন্ধরা কিংস। মধ্য মাঠ থেকে আতিকুজ্জামানের লম্বা ক্রস বক্সের মধ্যে গ্লাভসে নেওয়ার চেষ্টা করেও পারেনি প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা হামিদ, বল চলে যায় ফাকায় থাকা সোহানের পায়ে। 

আড়াআড়ি শটে দূরের পোস্টে বল জড়ান সোহান। শেষ দিকে জামাল ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেও পারেনি কিংসের রক্ষণ ভাঙতে। নিজেদের মাঠে দারুণ জয়ে মাঠ ছাড়ে বসুন্ধরা কিংস। তবে শেষ দিকে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন কিংসের ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষ। ওতাবেকলে ধাক্কা দেয়ায় লাল কার্ড পান তিনি।

সূচি অনুযায়ী ২২তম রাউন্ডের এই ম্যাচটি হওয়ার কথা ছিল শেখ জামালের হোম ভেন্যু মুন্সিগঞ্জে। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস তাদের শিরোপা উদযাপন নিজেদের মাঠে করতে চাওয়ার কারণে ম্যাচের ভেন্যু সরিয়ে কিংস অ্যারেনায় নিয়ে আসা হয়।

লিগের প্রথম পর্বে ৩-৩ সমতায় শেষ হয়েছিল দুই দলের লড়াই। ২২ ম্যাচে ১৮ জয়, ৩ ড্র ও ১ হারে ৫৭ পয়েন্ট বসুন্ধরা কিংসের। সমান ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ হয়ে লিগ শেষ করল শেখ জামাল।