সম্প্রতি ভারতে বৈধতা পেয়েছে সমকামিতা। এর আগে অনেক দেশেই সমকামী বিয়ে বৈধ করা হয়েছে।
আসুন জেনে নেই এমন কিছু দেশ সম্পর্কে যেসব দেশে সমকামী বিয়ে বৈধ।
অস্ট্রেলিয়া : অস্ট্রেলিয়ায় সমকামীদের বিয়ে বৈধতা পেতে যাচ্ছে। সম্প্রতি প্রতিনিধি পরিষদে এ-সংক্রান্ত বিল পাস হয়৷ এই প্রস্তাবের পক্ষে ১৪৬টি এবং বিপক্ষে পড়ে মাত্র ৪টি ভোট৷ এর আগে অস্ট্রেলিয়ার ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকস বা এবিএস ঘোষণা করে যে, দেশটির জনগণ সমকামী বিয়ের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন৷ সমকামী বিয়ে বৈধতা আইনে গণভোটের পক্ষে ভোট দেন ৬১ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ৷
অস্ট্রিয়া : অস্ট্রিয়ায় এবার অক্টোবরের নির্বাচনে জয়ী হয়েছে রক্ষণশীল দল৷ কিন্তু জনগণ সমকামিতার পক্ষে মত দিয়েছে৷ চলতি বছরে ওস্টেরাইস পত্রিকা একটি জরিপ করে, যেখানে দেখা গেছে দেশটির ৫৯ ভাগ মানুষ সমকামী বিয়ের পক্ষে, বিপক্ষে ২৫ শতাংশ মানুষ৷ ফলে অস্ট্রিয়াতেও খুব শিগগিরই সমকামী বিয়ে বৈধতা পাচ্ছে বলে আশা করা যায়৷
জার্মানি : চলতি বছরের ৩০ জুন জার্মানিতে সমকামী বিয়ে বৈধতা পায়৷ অর্থাৎ ইউরোপের ১৫তম দেশ হিসেবে জার্মানিতে সমকামী বিয়ে বৈধতা পেল৷ জার্মান পার্লামেন্টের পক্ষে ৩৯৩টি ভোট পড়ে আর বিপক্ষে পড়ে ২২৬টি ভোট৷ চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের রক্ষণশীল খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী পার্টি সমকামী বিয়ের বিপক্ষে থাকলেও, সংসদীয় নির্বাচনের ক’মাস আগে হঠাৎ করেই মার্কেল ঘোষণা করেন যে, এ বিষয়ে ভোটাভুটি হবে৷
মাল্টা : ২০১৭ সালের জুলাই মাসে মাল্টায় সমকামী বিয়ে বৈধতা পায়, যদিও এর বিরোধিতা করেছিল ক্যাথলিক চার্চ৷
বলিভিয়া : ২০০৯ সালে সংবিধান সংশোধন করে সমকামী বিয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল বলিভিয়া৷ কিন্তু ২০১৬ সালে তারা ট্রান্সজেন্ডারদের নানারকম অধিকার দেয়াকে সমর্থন করে৷ ২০১৭ সালের জুনে ট্রান্সজেন্ডারদের মধ্যে বিয়ের বৈধতা দেয় রক্ষণশীল এই দেশটি৷
তাইওয়ান : তাইওয়ানের সাংবিধানিক আদালত এ বছরের মে মাসে সমলিঙ্গের মানুষের মধ্যে বিয়ের পক্ষে রায় দিয়েছে৷ এশিয়ার মধ্যে এই দেশটিই সর্বপ্রথম সমকামী বিয়েকে বৈধতা দিল৷ আগামী বছর থেকে এই রায় কার্যকর হবে৷