দর্পণ ডেস্ক : গতকাল বুধবার বিকেলে গাজীপুর মহানগরীর গাজীপুরা এলাকায় সুপ্রভাতের নাম বদলাতে দেখা গেছে।
রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার প্রবেশপথে সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাসের চাপায় প্রাণ হারান বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবরার আহমেদ চৌধুরী। তাঁর মৃত্যুর পর ঘাতক ‘সুপ্রভাত পরিবহন’ নিয়ে নানা অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। নিহতের সহপাঠীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সুপ্রভাতের চালকের বিচারসহ আট দফা দাবিতে আন্দোলনে নামে। ঘটনার পর বিআরটিএ ঘাতক বাসটির রুট পারমিট বাতিল করে। এরপর গতকাল বুধবারও বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষাভ করে শিক্ষার্থীরা। যদিও সন্ধ্যায় সাত দিনের আলটিমেটাম দিয়ে আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
গাজীপুরা বাসস্ট্যান্ডের অদূরের একটি মাঠে সুপ্রভাতের দুটি বাসে নাম পরিবর্তনের কাজ চলছে। আগের নাম মুছে নতুন নাম লেখা হচ্ছে। রংমিস্ত্রি আতিকুল ইসলাম জানান, তিনি আড়াই হাজার টাকা চুক্তিতে দুটি বাসে রং করছেন। বাসের বডিতে আগের ‘সুপ্রভাত স্পেশাল’ লেখা মুছে তিনি ‘সম্রাট ট্রান্সলাইন (প্রা.) লিমিটেড’ লিখছেন। এ ছাড়া বাসের বডির রঙে কিছুটা ভিন্নতা আনা হচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে রংমিস্ত্রি আতিকুল বলেন, বাসের মালিককে তিনি চেনেন না। গ্যারেজ মালিক তাঁকে এ কাজ দিয়েছেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের (দক্ষিণ) সহকারী কমিশনার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, সুপ্রভাত পরিবহনের কোনো বাস অন্য কম্পানির নামে পরিবর্তিত হচ্ছে—এমনটা তাঁর জানা নেই। সুপ্রভাত পরিবহনের কোনো বাসের গাজীপুরে প্রবেশ করার সুযোগ নেই। বিষয়টি খোঁজ নিতে তিনি লোক পাঠিয়েছেন। সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।