দর্পণ রিপোর্ট: পটুয়াখালী জার্নালিস্টস ফোরাম (পিজেএফ), ঢাকা’র সভাপতি আ স ম জাকির হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সাইখুল ইসলাম উজ্জ্বল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে প্রথম আলোর বাউফল প্রতিনিধি ও বাউফল উপজেলা প্রেসক্লাবের নির্বাহী কমিটির সদস্য সাংবাদিক এবিএম মিজানুর রহমানকে হত্যা মামলায় আসামি করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন । একই সঙ্গে সাংবাদিক মিজানুর রহমানের নাম হত্যা মামলার আসামি তালিকা থেকে দ্রুত প্রত্যাহার করে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। সংগঠনের পক্ষ থেকে ৩১ মে রোববার এক যৌথ বিবৃতিতে পিজেএফ নেতৃবৃন্দ এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২৪ মে রোববার বাউফলে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় দুই গ্রুপের অসুস্থ রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার বলি হয়েছেন তাপস কুমার দাস নামে এক যুবক। ওই হত্যাকান্ডের ঘটনায় বাউফল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত তাপসের ভাই পঙ্কজ কুমার দাস। মামলায় সাংবাদিক মিজানসহ ৩৬ জনকে আসামি করা হয়। যদিও মামলার বাদী পঙ্কজ সাংবাদিক মিজানসহ অনেক আসামিকেই চেনেন না। পিজেএফ নেতারা বলেন, বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, সংঘর্ষে জড়িত দুটি গ্রুপের একটি পক্ষ থেকে যেসব নাম দেওয়া হয়েছে, তাদেরই আসামি করা হয়েছে তাপস হত্যা মামলায়। সাংবাদিক মিজানুর রহমানকে আসামি করার নেপথ্যের কারণ হচ্ছে, স্থানীয় দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদদের দুর্নীতির খবর প্রকাশ করা। তারা আরও বলেন, গত ২৪ মে’র সংঘর্ষ ও হত্যাকান্ডের পর বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের বিবদমান দুই গ্রুপ একে অপরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ এনেছে। কাদের অভিযোগ সত্য, তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে বলে আমরা আশা করি। কিন্তু মিজানুর রহমান একজন পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে ঘটনাস্থলে অন্য সাংবাদিকদের সঙ্গে সেদিন পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাকে আসামি করায় আমরা চরম ক্ষুব্ধ, হতবাক ও উদ্বিগ্ন। উল্লেখ্য, রাজনৈতিক কারণে এর আগেও ৬টি মামলায় আসামি করা হয়েছিল সাংবাদিক মিজানুর রহমানকে। সবগুলো মামলায় তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন।
মিজানকে হত্যা মামলায় আসামি করায় ঢাকায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত পটুয়াখালীর সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে পুলিশের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে, দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলার এজাহার থেকে সাংবাদিক মিজানুর রহমানের নাম বাদ দিন। অন্যথায় আমরা সাংবাদিক মিজানুর রহমানসহ সারাদেশে সাংবাদিক নির্যাতন, গ্রেফতার ও মামলা-হামলার প্রতিবাদে কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।