প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার আজহার উদ্দিন সাগর

সম্প্রতি রাজধানীর বাড্ডা থানায় করা এক মামলা তদন্ত করতে গিয়ে প্রতারক সাগরকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।

শনিবার গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. মহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এসব বিষয়ে জানান।

তিনি বলেন, সাগর ফেনী জেলার বাসিন্দা। নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করলেও সে প্রযুক্তি ব্যবহারে অত্যন্ত পারদর্শী। সুন্দরী মেয়েদের ছবি ও নাম ব্যবহার করে ফেসবুক আইডি তৈরি করতো। এসব আইডি ব্যবহার করে সাগর মধ্যবয়স্ক সমাজের বিত্তশালী ব্যক্তিদের টার্গেট করে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাতো। পরে ভিকটিমরা তার ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করলে আজহার নারী পরিচয়ে ভিকটিমদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলে। 

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, সুসম্পর্কের একপর্যায়ে সাগর তার টার্গেট করা লোকজনের সঙ্গে স্পর্শকাতর ও অন্তরঙ্গ আলাপচারিতায় লিপ্ত হতো। একপর্যায়ে ভিকটিমকে ভিডিও কলে আমন্ত্রণ জানাতো। ভিকটিম সরল বিশ্বাসে মেসেঞ্জারে ভিডিও কল রিসিভ করলে স্ক্রিন শেয়ারের মাধ্যমে মোবাইলে আগে থেকে ধারণ করা একটি ভিডিও ক্লিপ চালিয়ে দেয় এবং স্ক্রিন রেকর্ডের মাধ্যমে ভিডিও চ্যাট রেকর্ড করে মোবাইলে সংরক্ষণ করে।

এডিসি মহিদুল ইসলাম বলেন, রেকর্ড করা ভিডিও ভিকটিমের আত্মীয়-স্বজন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে সম্মানহানি করার হুমকি দিয়ে মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করতো আজহার। 

তিনি বলেন, এমন প্রতারণার মাধ্যমে টাকা খোয়ানো একজন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় একটি মামলা করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে ফেনী থেকে আজহারকে গ্রেফতার করা হয়।

সামাজিক মাধ্যমে অপরিচিত কারো সঙ্গে বন্ধুত্ব করার ক্ষেত্রে সাবধান হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি আরো বলেন, বন্ধুত্বের অনুরোধ গ্রহণ করার আগে পরিচিত কি না তা নিশ্চিত হতে হবে। অপরিচিত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথোপকথন ও তথ্য শেয়ারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকাতে হবে।