অনলাইন ডেস্ক :‘মেকআপ যে একটা শিল্প, সেটা আমাদের দেশের অনেকে না বুঝলেও ইউরোপ-আমেরিকায় এর বেশ কদর। একজন মেকআপশিল্পীকে ওরা খুবই সমীহ করে, সম্মান করে’, কথাগুলো মোনালিসার।

থাকেন নিউ ইয়র্কে। আন্তর্জাতিক প্রসাধনী প্রতিষ্ঠান ‘সেফোরা’র বিউটি অ্যাডভাইজার।

পাঁচ বছর আগে দেশ ছেড়েছিলেন এই মডেল-অভিনেত্রী। যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে যোগ দেন স্থানীয় টাইম টেলিভিশনে, অনুষ্ঠানপ্রধান পদে। এক বছর পর ছেড়ে দেন এই টিভি চ্যানেল। নিউ ইয়র্কের কুইন্স মলে প্রসাধনসামগ্রী প্রতিষ্ঠান ‘ম্যাক’-এ মেকআপশিল্পী হিসেবে যোগ দেন। ‘ম্যাক’-এ ইন্টারভিউ দিতে হলে মেকআপ ও প্রসাধনী বিষয়ের ওপর ডিগ্রি লাগে। মোনালিসার সেসব ছিল না, ছিল অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান। সেটাকে কাজে লাগিয়েই সুযোগ পান। দুই বছর পর ডাক আসে ইতালির কিকা মিলানো নামের একটি প্রসাধনীসামগ্রীর প্রতিষ্ঠান থেকে। সহকারী ম্যানেজার হিসেবে যোগ দেন সেখানে। কিছুদিন পরেই ‘সেফোরা’য় বিউটি অ্যাডভাইজার পদে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব পান। দেরি করেননি, চলে আসেন ‘সেফোরা’য়। এখানে তিনি মেকআপের ওপর প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেন।

দেশীয় শোবিজ অঙ্গন ছেড়ে কেন এই ক্যারিয়ার বেছে নিলেন? মোনালিসা বলেন, ‘অনেকেই হয়তো জানে না, দেশের শোবিজে যখন কাজ করতাম তখন নিজের মেকআপ নিজেই নিতাম। মেকআপ বিষয়ে আমার তীব্র আকর্ষণ ছিল। দেশ-বিদেশের সাময়িকী জোগাড় করে খুঁটে খুঁটে পড়তাম। দিন দিন এটার প্রতি একটা ঝোঁক তৈরি হয়।’

মোনালিসার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এখন এই সৌন্দর্যচর্চা ঘিরেই, ‘আমাদের দেশে এই কাজের মূল্যায়ন নেই বললেই চলে। যুক্তরাষ্ট্রে একজন আর্টিস্টকে হাজার ডলার ঘণ্টা চুক্তিতে হায়ার করা হয়। কখনো যদি স্থায়ীভাবে দেশে ফিরি, ইচ্ছা আছে বাংলাদেশেও এই শিল্পটাকে প্রতিষ্ঠিত করার। আন্তর্জাতিক মানের একটি প্রতিষ্ঠান চালুর চিন্তা আছে।’

দুই বছর পর দুই মাসের জন্য দেশে এসেছেন। এরই মধ্যে একটি নাটকের শুটিং করেছেন। ঈদের আরো কিছু নাটকে অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েছেন। এর মধ্যে হানিফ সংকেত, এস এ হক অলিক, জাহিদ হাসানের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের নাটকে অভিনয় করবেন। চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন বিজ্ঞাপনচিত্রেও।

মোনালিসার কাছে অভিনয় হলো একটা আবেগ মেশানো ভালো লাগা, ‘অভিনয় আর নাচটা আমার রক্তে মিশে গেছে। সুযোগ পেলেই অভিনয় করব। নাচ দিয়েই শোবিজে আমার প্রবেশ, নাচটাও চালিয়ে যাব। আমার বন্ধু ইভান শাহরিয়ার সোহাগ এ ক্ষেত্রে আমাকে বেশ সহযোগিতা করে। তার কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’