বুধবার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে চুরি যায় সৌম্যের বাবা, বন্ধুসহ স্বজনদের ৭টি মুঠোফোন। এ নিয়ে শুরু হয় তুলকালাম
উৎসবমুখর পরিবেশে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে গাঁটছড়া বেঁধেছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার সৌম্য সরকার। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান হয় খুলনা ক্লাবে রাত ৯টার লগ্নে শুরু হয় তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা।
কিন্তু এমনই এক শুভক্ষণে দুই পরিবারের মিলন মেলার ভিড়ে মোবাইল ফোন চুরিকে কেন্দ্র করে শুরু হয় হট্টগোল।
সৌম্যর বাবা কিশোরী মোহন সরকার, বরযাত্রী শিল্পপতি দ্বীনবন্ধু মিত্র ও সৌম্যর বন্ধু অলিসহ সৌম্যর স্বজনদের সাতটি মোবাইল চুরি হয়।
এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা ইউএনবি।
ইউএনবি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, চুরির বিষয়টি টের পাওয়ার পর সৌম্যর মেজভাই প্রণব সরকার খুলনা ক্লাবের কর্মচারীদের তা জানান এবং চোরদের ধরতে যান। কিন্তু ক্লাবের কয়েকজন কর্মচারী তাদের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন এবং প্রণব ও অলিদের ওপর হামলা চালান। এতে তারা আহত হলে প্রায় আধা ঘণ্টা থেমে থাকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা।
সৌম্য সরকারের মামা স্বদেশ সরকার জানান, প্রচণ্ড ভিড়ে গেট দিয়ে প্রবেশের সময় দ্বীনবন্ধু মিত্রের মোবাইল ফোন চুরি হয়ে যায়। চুরি হয় সৌম্যর বাবা, বন্ধু অলিসহ বর যাত্রীদের সাতটি মোবাইল ফোনও। একপর্যায়ে চোরদের হাতে-নাতে ধরে ফেললে খুলনা ক্লাবের কর্মচারীরা বরযাত্রীদের ওপর হামলা চালায়।
আরও পড়ুন – অগ্নিসাক্ষী রেখে সাতপাকে বাঁধা পড়লেন পূজা-সৌম্য!
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চুরি হওয়ার পর হারানো মোবাইল নম্বরে ফোন করেন সৌম্যের স্বজনরা। তখন একজনের কাছে মোবাইল ফোন বেজে ওঠে। পাকড়াও করা হলে তার কাছে ৫টি ফোনসেট পাওয়া যায়।
এদিকে, ঘটনার পর খুলনা ক্লাবে অবস্থান নেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য। পরে পুলিশ ও ক্লাব কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতনরা সৌম্যের অভিভাবকদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন।
খুলনা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) টিপু সুলতান ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, দুই চোরকে ধরার পর গণপিটুনি দেওয়া হচ্ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের ধরে থানায় নিয়ে আসে।
আটক দুই চোর হলো- ঢাকার শ্যামপুর এলাকার রাসেল (২৭) ও ভাসানটেক এলাকার সেলিম (৩০)। রাসেলের নামে শ্যামপুর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানান এসআই।
এই ঘটনায় সৌম্যের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
তিনি আরও বলেন, রাসেল ও সেলিম চোর চক্রের সদস্য। সৌম্যের বিয়ে উপলক্ষে তারা ঢাকা থেকে চুরির উদ্দেশ্য নিয়েই খুলনায় এসেছিল। তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া সাতটি ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, খুলনার মেয়ে প্রিয়ন্তি দেবনাথ পূজার সঙ্গে খুলনা ক্লাবেই সাতপাকে বাঁধা পড়লেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার সৌম্য সরকার। প্রায় পাঁচ শতাধিক বরযাত্রী নিয়ে বিয়ে করতে যান তিনি।
প্রিয়ন্তি দেবনাথের বাবা গোপাল দেবনাথ ব্যবসায়ী এবং মা মাধবী দেবনাথ গৃহিণী। তাদের বাড়ি খুলনা শহরের টুটপাড়া এলাকায়। পূজা বর্তমানে ঢাকার একটি কলেজে ও লেভেল হায়ার সেকেন্ডারিতে পড়ছেন। তিন বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট।