ভাইস মিডিয়ার একটি রিপোর্টে অভিযোগ করা হয়, গুগল সার্চ করলেই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের বা কোনো গ্রুপ চ্যাটের যাবতীয় সব কিছুই দেখা যাবে। অর্থাৎ কোনো গোপন চ্যাটের কোনো কিছুই আর গোপন থাকছে না। যদিও গত কিছু দিন থেকেই এই ঘটনার সবকিছুই জানা ছিল ফেসবুকের।
হোয়াটসঅ্যাপে প্রাইভেট চ্যাট গ্রুপের সব তথ্য যে এক্সেসেবল তা একটি কোডের (ইউআরএল) মাধ্যমে গ্রুপ ক্রিয়েটর বা অ্যাডমিনরা পাঠিয়ে থাকেন। কিন্তু রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, সেই কোডগুলোকে ইনডেক্স করে রাখছে হোয়াটসঅ্যাপ। আর তারপরই তারা সার্চ রেজাল্টে সবকিছুই দেখাচ্ছে।
এর মাধ্যমেই যে কেউ ওইসব কোডের সূত্র ধরে পৌঁছে যেতে পারে প্রাইভেট গ্রুপে। এমনকি তারা চাইলে আপনার অনুমতি ছাড়া সব গ্রুপে জয়েনও করতে পারে। জার্মান একটি মাল্টিমিডিয়া সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিক জর্ডন উইলডন টুইট করে এ বিষয়ে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
গুগলের তরফে এ নিয়ে সরাসরি কিছু প্রতিক্রিয়া জানানো না-হলেও তাদের ‘সার্চ’ সংক্রান্ত যোগাযোগকারী কর্তা ড্যানি সুলিভান টুইটারেই জানিয়েছেন, ঠিক যেমন একটি ওয়েবসাইটের প্রকাশ্য পাতাগুলি খুঁজে পাওয়ার সুবিধার জন্য তার লিঙ্ক তথা ইউআরএল-এর তালিকা তৈরি হয়, এখানেও ঠিক তেমন। গুগল ও অন্য সার্চ ইঞ্জিনগুলি সকলেই ওপেন ওয়েব পাতাগুলির তালিকা তৈরি করে। এ ক্ষেত্রেও সেটিই হচ্ছে। যার অর্থ, কেউ যখন প্রাইভেট হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের লিঙ্ক, পাবলিক ডোমেনে থাকা কোনও ফোল্ডারে রাখেন, তখনই এমনটা ঘটে। গোপনীয়তা রক্ষার ক্ষেত্রে ব্যক্তিবিশেষ কতটা সচেতন সবটাই তার উপরে নির্ভর করছে। ফোনে হোয়াটসঅ্যাপে আসা বার্তা যদি তেমন ফোল্ডারে জমা হয়, তাতে সেটি আর গোপন থাকে না। যে কেউ একটু খুঁজলেই এমন গ্রুপের হদিস পেতে বা তাতে ঢুকে পড়তে পারেন।
অ্যাপ রিভার্স ইঞ্জিনিয়ার জেন ওয়ং জানান, সাধারণ কোনো শব্দ দিয়ে সার্চ করলেই গুগলে অন্তত ৪ লাখ ৭০ হাজার লিঙ্ক দেখায়। এর একটি অংশ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের আমন্ত্রণ। কানাডার ভাইস মিডিয়া গ্রুপের সংস্থা মাদারবোর্ড এ ভাবেই প্রচুর গ্রুপের হদিস পেয়েছে, যেগুলি আসলে পর্নোগ্রাফি আদানপ্রদানের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। একই পদ্ধতিতে রাষ্ট্রপুঞ্জ স্বীকৃত একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার গ্রুপে ঢুকে, সেটির সব সদস্যের নাম ও ফোন নম্বর পেয়েছে তারা।