কোথাও ঘুরতে গেলে লাগেজ ছাড়া কী চলে। তবে অনেকে বড় লাগেজ সঙ্গে করে বিমানের ভেতরে নেয়া যায় না। তাই অনেক ভারি লাগেজ হলে তা বিমান কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে দিয়ে পরে বেল্ট থেকে সংগ্রহ করতে হয়।
কিন্তু পৌঁছানোর পর বেল্ট থেকে বের হলো ভাঙাচোরা, বিধ্বস্ত এক লাগেজ৷এমন অভিজ্ঞতা যারা নিয়মিত ঘোরাঘুরি করে থাকেন, তাদের কাছে নতুন কিছুই না৷
সাধারণ যাত্রীদের চোখের আড়ালে বিমান থেকে লাগেজ ওঠানামার কাজ করা হয় বলে কখনো এর দায়িত্বে নিয়োজিতদেরও পড়তে হয় না জবাবদিহিতার মুখে৷
কিন্তু মাঝেমধ্যেই কোনো উপায়ে যাত্রীদের সামনে পড়ে যায় এই লাগেজ ‘মিসহ্যান্ডলিং’-এর দৃশ্য৷ কেউ কেউ হতাশ হয়ে ভিডিও ধারণ করে ছড়িয়ে দেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে৷ কিন্তু তাতে কতটুকুই বা লাভ হয়?
এমনই ধারণ করা এক দৃশ্য আবারও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে৷ এবারের ঘটনাস্থল অবশ্য একটু অবাক হওয়ার মতোই৷ ঘটনাস্থল হংকং বিমানবন্দর৷
ফেসবুকে মার্সেলা ফার্নান্দা সোলিস ওয়াকার নামের এই যাত্রী বিমান থেকে লাগেজ নামানোর দৃশ্য ধারণ করে শেয়ার করেছেন৷ ক্যাপশন দিয়েছেন, এভাবেই নামানো হয় আমাদের প্রিয় লাগেজগুলো৷’
ফেসবুক পোস্টে তিনি উল্লেখ করে দেন, ক্যাথে প্যাসিফিক এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তিনি চীনের জিয়ামেন থেকে হংকং আসেন৷
ভিডিওতে দেখা যায়, বেল্টে আসা একের পর এক লাগেজ সামনের ডেলিভারি ভ্যানে ছুড়ে ছুড়ে ফেলছেন এ কাজে নিয়োজিত দুই ব্যক্তি৷ এমনকি বেশ কয়েকটি লাগেজে ‘ফ্র্যাজাইল’ বা ‘ভঙ্গুর’ স্টিকার লাগানো থাকার পরও সেগুলোকেও ছুড়ে ফেলা হয় একইভাবে৷
২৬ সেপ্টেম্বর শেয়ার করা এই ভিডিও এক সপ্তাহে দেখেছেন ৫৫ লাখেরও বেশি মানুষ৷ প্রায় এক লাখ শেয়ারের পাশাপাশি কমেন্ট করেছেন আট হাজারের বেশি ফেসবুক ব্যবহারকারী৷
ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর টনক নড়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের৷ যাত্রীদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি, এ ধরনের ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে আর না ঘটে সে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাসও দিয়েছে কর্তৃপক্ষ৷