করোনার ভয়ে ভারতীয় বহু রান্নাঘর থেকে বাদ পড়েছে মাছ-মাংস। অনেকেরই ধারণা, এই ভাইরাস (কোভিড-১৯) হয়তো মাছ-মাংসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে শরীরে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কেউই মাংস খেতে নিষেধ করেননি। শুধু জানিয়েছেন কিছু বিশেষ নিয়মের কথা।
আরো জানানো হয়েছে, ফ্রিজেও বেঁচে থাকে এই ভাইরাস। তাই মাংস কেনা, রান্না ও ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখার বিষয়ে সচেতন থাকলেই এড়ানো যাবে করোনা। এই কোভিড-১৯-এর হানা থেকে বাঁচতে কোন নিয়মে মাংস খাবেন তা জেনে নিন-
> মাংস কেনার পূর্বে ভালো করে লক্ষ্য করুন তা টাটকা আছে কি না। বাসি মাংস মানেই যে করোনার ভয় থাকবে, তা একেবারেই নয়। তবে বাসি মাংস থেকে অন্য সংক্রমণ ছড়াতে পারে। এছাড়াও যে মাংস কিনছেন, সেই পশু বা পাখিটির আগেই মৃত্যু হলে কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে সেটা জানার উপায় থাকে না। তাই পশু জবাইয়ের সময় বা তাজা মাংস কাটার সময় সামনে উপস্থিত থাকুন।
> প্রিজারভেটিভ মেশানো বা টিনবন্ধ ও প্যাকেটজাত করা মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। বার্গার, পিৎজা বা চিকেনে যেসব মাংস ব্যবহার করা হয়, তার অধিকাংশই প্যাকেটজাত কিংবা প্রিজারভেটিভ মেশানো। এসব এড়িয়ে চলুন।
> বাজার থেকে মাংস নিয়ে আসার পর তা সামান্য গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে ধুয়ে নিন। এতে করে মাংসের গায়ে থাকা রোগজীবাণু অনেকটাই ধুয়ে যায়।
> রান্নার সময় লক্ষ্য রাখুন মাংস যেন সিদ্ধ হয়। বাঙালিরা যে তাপমাত্রায় মাংস রান্না করেন তাতে কোনো ভাইরাসই বেঁচে থাকে না। তাই মাংস যদি সুসিদ্ধ হয় তবেই নিশ্চিন্ত হয়ে তা খেতে পারেন।
> যেহেতু ফ্রিজেও বেঁচে থাকতে পারে করোনাভাইরাসটি তাই ফ্রিজ পরিষ্কার রাখুন। মাংসসহ যে কোনো খাবার ফ্রিজ থেকে বের করার কিছুক্ষণ পর ভালো করে গরম করে খেলে আর ভয় থাকবে না।