জিনেদিন জিদান

বলা হচ্ছে, রিয়ালের ড্রেসিং রুমে এখন আর জিদানের প্রথম দফার সুবাতাস নেই

ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম মহানায়ক আর এক সময় রিয়াল মাদ্রিদের মাঝমাঠ দাপিয়ে বেড়ানো তারকা জিনেদিন জিদানকে ২০১৬ সালে কোচের দায়িত্ব দিয়েছিল লস্‌ ব্ল্যাঙ্কোসরা। টানা তিন মৌসুম দুর্দান্ত সাফল্যের পরেও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় ২০১৮ সালে দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন জিজু। এরপর থেকে ধুঁকতে শুরু করে মাদ্রিদ। বহু কাঠখড় পুড়িয়ে আবার তাকে কোচ হিসেবে আনেন ক্লাব প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ।

তবে, শোনা যাচ্ছে আবারও রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়তে পারেন জিদান। কারণ? সেই টানাপোড়েন। দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টসহ একাধিক ব্রিটিশ গণমাধ্যম বলছে, ইতোমধ্যে পরবর্তী কোচ হিসেবে টটেনহ্যামে হটস্পারের সাবেক কোচ মরিসিও পচেত্তিনোকে মনে ধরেছে রিয়াল কর্তৃপক্ষের।

মাত্র একদিন আগেই (২ মার্চ) এল ক্ল্যাসিকোতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনাকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে লিগে শীর্ষস্থানে ফিরেছে জিজুর দল। তবে ক্লাব সূত্রের বরাত দিয়ে ইন্ডিপেন্ডেন্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই জয়কে ক্লাব কর্তৃপক্ষ দেখছে “ক্রমাগত চাপের মুখে” সময়ের সঙ্গে অত্যন্ত সামঞ্জস্যপূর্ণ হিসেবে।

মৌসুম শেষে জিদানকে সরানো হতে পারে জানিয়ে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ঘরের মাঠে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে হার এবং খেলোয়াড়দের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ার কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বোর্ড।

বলা হচ্ছে, রিয়ালের ড্রেসিং রুমে এখন আর জিদানের প্রথম দফার মতো সুবাতাস নেই। সেবার টানা তিনটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ আর একটি লা লিগা জিতেছিল মাদ্রিদ। আর এবার কয়েকজন সিনিয়র খেলোয়াড়ের অনুপস্থিতির পাশাপাশি জিজুকে ভোগাচ্ছে সম্পর্কের অবনমন। জিদানের আচরণে অখুশি কয়েকজন খেলোয়াড়।

এছাড়া, প্রথম দফায় অসামান্য সাফল্য সত্ত্বেও প্রেসিডেন্ট পেরেজের সঙ্গে সবসময় সুসম্পর্ক ছিল না জিদানের।

সব মিলিয়ে জিদানকে আবারও “বিদায়” বলতে পারে পেরেজের মাদ্রিদ। আর অনেকদিন ধরে পচেত্তিনোর প্রশংসা করে আসছে মাদ্রিদ বোর্ড। কী হয় জানতে অপেক্ষা করতে হবে মৌসুমের শেষ পর্যন্ত। তাছাড়া, চলতি মৌসুমে বেকার পচেত্তিনোও এবার কোনো বড় ক্লাবের হয়েই ডাগ-আউটে ফিরবেন এমনটাই আশা করা যাচ্ছে।