অনলাইন ডেস্ক : যত না বয়স, তার চেয়েও বয়স্ক দেখতে লাগে কি আপনাকে? কেবল চেহারাই কিন্তু এর জন্য দায়ী নয় বরং দায়ী আপনার স্টাইল স্টেটমেন্ট। নিজেকে কী ভাবে ক্যারি করছেন তার ওপরই নির্ভর করে অন্যদের চোখে আপনার বয়স ঠিক কত। তাই চেহারায় তারুণ্য ধরে রাখতে মেনে চলুন এই ক’টা নিয়ম, আর অন্যের চোখে হয়ে উঠুন এভারগ্রিন!

আড়াআড়ি দাগকে ‘না’: যদি চেহারা এমনিতেই একটু ভারির দিকে হয়, তা হলে এড়িয়ে চলুন এমন স্ট্রাইপ। তার চেয়ে ওয়ার্ডরোবে থাকুক প্রচুর ভার্টিকাল লাইনসের পোশাক। যা পরলে রোগা ও কম বয়সী দেখতে লাগে।

ঠিক মাপের পোশাক: জামাকাপড় কেনার সময় একটু ঢোলা পোশাকের দিকে চোখ চলে যায় অনেকের। আবার কেউ ভাবেন, আটো পোশাক হলেই বুঝি ছিপছিপে দেখতে লাগে। এর কোনোটাই ঠিক নয়। ঢিলে পোশাক যেমন চেহারাকে ভারি করে তুলে বয়সের ছাপ ফেলে তেমনই আটো পোশাকে স্পষ্ট হয় শরীরের বাড়তি মেদ। তাই পোশাক কিনুন শারীরিক গঠন বুঝে, ঠিক মাপের।

লং স্কার্ট নয়: লং স্কার্টের নকশা যতই মনে ধরুক, এড়িয়ে চলুন। কিনে এনে অল্টার করিয়েও নিতে পারেন। হাঁটু ঝুলের চেয়ে বড় স্কার্ট পরলে শরীরের নিচের অংশ ভারি দেখায়। চোঙাকৃতি লং পেনসিল স্কার্টও কিন্তু তা ঢাকতে পারে না। ঘের না থাকায় কোমরের বাড়তি মেদকে বুঝিয়ে দেয় সে।

গিকি গ্লাসেস: হাল ফ্যাশনে এটাই ইন। চশমার আকৃতিই বদলে দিতে পারে আপনার ব্যক্তিত্ব ও বয়স। মুখের সঙ্গে মানানসই ফ্রেমের চশমা না পরলে বয়স বেশি দেখাবেই। সে ক্ষেত্রে পুরনো নকশা পাল্টে ট্রাই করুন গিকি গ্লাস। এর ফ্রেম মুখকে সরু দেখায়, চওড়া করে তোলে চোখের চারপাশকে। স্টাইল তো হবেই, সঙ্গে দেখাবেও কমবয়সী।

স্কার্ফ এড়ান: খুব ঠাণ্ডা না পড়লেও পোশাকের সঙ্গে মানানসই একটা স্কার্ফ কিনে ফেলা আমাদের অনেকের বদঅভ্যাস। স্কার্ফের নকশা আরো চটকদার করে তোলে ভাবলে সে ধারণা সরান বরং স্কার্ফ জড়ানো খুব পুরনো ফ্যাশান। গলার নমনীয়তা ও লম্বাটে আকার ঢেকে তা চেহারায় ভারিক্কি ভাব আনে আর বয়স্কও দেখায়।