দর্পণ ডেস্ক : হবিগঞ্জের লাখাইয়ে দেবরের দায়ের কুপে নিহত হয়েছেন অন্তসত্ত্বা গৃহবধূ মানছুরা আক্তার সুমী (২৫)। ঘটনার পর থেকে দেবর বুরহান উদ্দিন পলাতক রয়েছে।

রোববার দুপুরে গুরুতর আহত অবস্থায় সুমীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু ঘটে। সে উপজেলার মুড়িয়াক পশ্চিমপাড় দেওয়ান বাড়ির আব্দুর রশিদ লিটনের স্ত্রী এবং একই গ্রামের সফিউল আলমের মেয়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সুমীর আপন চাচাতো ভাই আব্দুর রশিদ লিটনের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই তাদের পরিবারে শুরু হয় কলহ। এর জের ধরে রোববার বেলা ১১টায় লিটনের ছোট ভাই বুরহান সুমীর মাথা এবং হাতে ধারালো দা দিয়ে আঘাত করে।

এ সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পথে বিকাল সাড়ে ৪টায় তার মৃত্যু ঘটে। সুমী ৫ মাসের অন্তসত্ত্বা বলেও জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এ ব্যাপারে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ এমরান হোসেন জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে দেবর বুরহান উদ্দিনের আঘাতে সুমীর মৃত্যু হয়েছে। ঘ্টনার পর বুরহানকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। পরবর্তীতে তদন্তপূর্বক সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।