অনলাইন ডেস্ক : সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এবার ঈদযাত্রায় রাস্তার জন্য যানজট হবে না। কিন্তু ফিটনেসবিহীন গাড়িগুলো যানজট সৃষ্টি করতে পারে। কারণ এসব গাড়ি সহজেই রাস্তায় বিকল হয়ে যায়। পরে রেকার এনে সরাতে দীর্ঘ সময় লাগে। ততক্ষণে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়।
শুক্রবার সকালে যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলে ফিটনেসবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম পরিদর্শনের পর তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত মাতুয়াইলে চারটি গ্যারেজে ১৪টি গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষা করে। ফিটনেস না থাকায় দুটি গাড়ি ডাম্পিংয়ে পাঠানো হয়। বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় গ্যারেজ মালিকদের ৮০ হাজার টাকা এবং একটি গাড়ির মালিককে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় চলছে কেন— এমন প্রশ্নের উত্তরে সেতুমন্ত্রী বলেন, ঈদের সময় কোটি মানুষ ঢাকার বাইরে যাবে। এই সুযোগে ফিটনেসবিহীন লক্কর-ঝক্কর গাড়িগুলো রংচং করিয়ে রাস্তায় নামানো হয়। এগুলো বন্ধের দায়িত্ব ছিল বিআরটিএর, তারা এ ব্যাপারে নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশের নাকের ডগায় এ ধরনের অবৈধ কাজ হচ্ছে। তারা এসব বিষয়ে ইনফর্ম করেননি। বিআরটিএ ও পুলিশ উভয়ের এ নিয়ে দায় আছে।
যেসব গ্যারেজে ফিটনেসবিহীন গাড়িতে রং করে আবার রাস্তায় নামানো হচ্ছে সেসব গ্যারেজ সিলগালা করার নির্দেশ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন বিআরটিএর প্রধান কাজ হলো ফিটনেসবিহীন গাড়িগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখা। ফিটনেসবিহীন গাড়ি যাতে রাস্তায় না আসে সেজন্য উৎস মুখ বন্ধ করতে হবে।
এ সময় মন্ত্রী যানজট কমাতে উল্টোপথে গাড়ি চলাচল বন্ধের ওপর জোর দিয়ে বলেন, দশজন ভিআইপিকে খুশি করতে গিয়ে লাখ লাখ লোককে কষ্ট দেয়া চলবে না।
ঈদের আগে রাজধানীতে রাস্তায় খোঁড়াখুড়ি বন্ধের জন্য ওয়াসা, বিদ্যুৎ ও টেলিফোন সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ঈদের আগে এবং পরে কয়েকদিন যেন কোনো খোঁড়াখুড়ি করা না হয়। খোঁড়াখুড়ির কারণে মানুষ রাজধানীতে ভীষণ কষ্টে আছে।