Medical staff members test for COVID-19 passengers arriving at the Palermo harbor, Sicily, southern Italy, Tuesday, Dec. 15, 2020. The Italian government is weighing even tighter restrictions over the Christmas holiday to avoid a new resurgence and as some regions continue to struggle with high levels of new positives.(Francesco Militello Mirto/LaPresse via AP)

দর্পণ ডেস্ক : এবার ইতালিতেও এক রোগীর দেহে মিলল করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেন (প্রজাতি)। রোববার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এ কথা জানানো হয়েছে। নতুন এই স্ট্রেনকে নিয়ে গোটা ইউরোপে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

ইতালির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কয়েকদিন আগেই ব্রিটেন থেকে এক আক্রান্ত ও তার সঙ্গী ইতালিতে ফেরেন। বিমানে প্রথমে তারা রোমের ফিউমিসিনো বিমানবন্দরে নামেন। আপাতত তাদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।

করোনাভাইরাসের এই নতুন স্ট্রেন প্রথম মেলে ব্রিটেনে। এই স্ট্রেন আগের তুলনায় দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে ব্রিটিশ প্রশাসন। দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ড এবং লন্ডনে নতুন করে লকডাউন ঘোষণা করেছে বরিস জনসনের সরকার।

এরই মধ্যে ইউরোপের বহু দেশ ব্রিটেন থেকে আসা সব বিমানের ঢোকা নিষেধ করেছে। বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস ব্রিটেনের সব বিমান বাতিল করেছে। ব্রিটেন সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে বেলজিয়াম। নতুন করে যাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে তাই আগাম সতর্কতা হিসেবে একই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে জার্মানি। ইতালিতে করোনার নতুন স্ট্রেন ঢুকে পড়ায় তারাও ব্রিটেনের সব বিমান বাতিল করতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ব্রিটেনে নতুন স্ট্রেনের খবর মিলতেই সৌদি আরব রোববারই সে দেশের সব আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, ইউরোপ বা অন্য যে কোনও দেশ থেকে আসা যাত্রীদের দুই সপ্তাহের জন্য আইসোলেশনে থাকতে হবে। সেই সঙ্গে করোনার পরীক্ষাও করাতে হবে তাদের। সৌদির পাশাপাশি কুয়েতও ব্রিটেনের যাত্রীবাহী বিমানের ওপর আপাতত নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

গত সেপ্টম্বরে দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডে করোনার এই নতুন স্ট্রেন পাওয়া গিয়েছিল। সেখান থেকে দেশের অন্য প্রান্তেও ছড়িয়ে পড়ে এই স্ট্রেন এবং খুব দ্রুত গতিতে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানিয়েছেন, করোনার এই নতুন স্ট্রেন আগের তুলনায় ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রমণ ছড়াতে পারে। যা খুব মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। এরই মধ্যে এই নতুন স্ট্রেনকে সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে ব্রিটিশ প্রশাসন।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, করোনার এই মিউটেশনে আশ্চর্যজনক নয়। তাদের দাবি, করোনাভাইরাস যখন খুঁজে পাওয়া গেল তখনই দেখা গিয়েছে হাজারেরও বেশি বার মিউটেশনের ক্ষমতা রয়েছে এই ভাইরাসের।