অনলাইন ডেস্ক :
ফিওলা ১৯৫৮ বিশ্বকাপ জয়ী ব্রাজিলের কোচ ছিলেন। ফাইনালের আগে পেলেদের ডেকে বলেছিলেন, ‘সুইডেনের বিপক্ষে আগামীকাল আমাদের খেলাটাই খেলব। ব্রাজিল খেলবে ব্রাজিলের মতো।’ রাশিয়া বিশ্বকাপে নেইমার ও কোটিনহোয় ব্রাজিল আবার ব্রাজিল হয়ে উঠেছে। গ্রুপের শেষ ম্যাচে নেইমার-কোটিনহোর দুর্দান্ত গতিতে প্রমাণ হয়ে যায় এই বিশ্বকাপে হলুদের উৎসব হতে যাচ্ছে।
গোলে নেইমার ও কোটিনহো সাহায্য তো করছেনই। আবার আক্রমণেও যাচ্ছেন। শেষ ষোলোর ম্যাচেই ব্রাজিলকে পেয়ে মোটেও স্বস্তিতে নেই মেক্সিকো। এই ব্রাজিল তো এখন নেইমার-কোটিনহোর ব্রাজিল। কোনো কৌশলে কাজ হবে কি? না কৌশলই আবার উল্টো বিপদ হয়ে দেখা দেয়। এই বিশ্বকাপে মেক্সিকো যেভাবে শুরু করেছে। সে ধারা বজায় থাকবে কিনা আজই বোঝা যাবে। নকআউট পর্বে প্রমাণের সুযোগ কম। ওই নব্বইটি মিনিটে
আশার আলো ভেলার মতো ডোবে আর ভাসে।
নেইমার বিশ্বকাপের শুরুতে বেশ নড়বড়ে ছিলেন। কোটিনহো আবার বজ্রকঠিন। নেইমারের ছন্দে ফিরতে সময় লেগেছে। কোস্টারিকার ম্যাচে চিরচেনা নেইমারকে দেখা গেছে। সেই গতি, এগিয়ে যাওয়া বল নিয়ে, ড্রিবলিং, শট, পাসে প্রতিপক্ষ চোখে-মুখে শর্ষে ফুল দেখেছে। গতকাল নেইমার তেমন একটা অনুশীলন করেননি। ম্যাচের আগে অনুশীলনে সময় ব্যয় করা ঠিক নয়। এটা ক্ষতিরও কারণ হতে পারে। ইনজুরিতে তো পড়েছিলেন। ক্লাব ম্যাচের ইনজুরি থেকে ফিরে জাতীয় দলে সেট হতে নেইমার অবশ্য অল্প সময়ে ফিরেছেন। ব্রাজিল তো আত্মবিশ্বাসী এখন নেইমারে। আগের ম্যাচে দেখা গেছে নেইমার-কোটিনহো আক্রমণে গেছেন আর গোল পেয়েছেন পাওলিনহো ও থিয়াগো সিলভা। মেক্সিকোও নজরে রাখবে নেইমার আর কোটিনহোকে। এটা বিপদের কারণও হতে পারে।
মেক্সিকো দুরন্ত দল। অভিজ্ঞতা তো রয়েছেই। রাফায়েল মার্কেজ পঞ্চম বিশ্বকাপে খেলছে। তিনি আক্রমণভাগকে পেছন থেকে দারুণ সাহায্য করছেন। এ ছাড়া অগ্রভাগে হার্নান্দেজ ও লোজানো রয়েছেন। দুজনই দ্রুত গতির খেলোয়াড়। মেক্সিকো থেকে এই বিশ্বকাপে ৩২ হাজার সমর্থক এসেছেন। আজব এক বাঁশি নিয়ে এসেছেন। অপরপক্ষের খেলোয়াড়রা কর্নার নিতে গেলে বিপত্তিতে পড়বেন।
কোচ তিতে ব্রাজিলের পারফরম্যান্সে খুশি তবে সেরাটা চান। তিনি বলেছেন, ‘শেষ ষোলোর লড়াই সব সময় আলাদা। আমরা মেক্সিকো সম্পর্কে জানি। আশা করছি ভালো করবে ছেলেরা।’
ফিফা র্যাংকিং দেখলে ব্রাজিল-মেক্সিকোর দূরত্ব বোঝা যায়। ব্রাজিল রয়েছে দ্বিতীয় ও মেক্সিকো ৪০তম স্থানে। মুখোমুখি হয়েছে এ দুই দেশ ৪০ বার। ব্রাজিল ২৩টিতে জিতেছে আর বিপরীতে মেক্সিকোর জয় ১০টি। সব দিক থেকেই ব্রাজিল এগিয়ে। ব্রাজিল এই ম্যাচগুলোয় গোল করেছে ৭৩টি। আর মেক্সিকো পেয়েছে ৩৬টি।
আর্জেন্টিনার বিদায় ঘটেছে। একই রাতে রোনালদোর পর্তুগালও চলে গেল। বিশ্বকাপের সামগ্রিক আকর্ষণ ও ব্যবসায় বিশাল ধস নামবে। আজ এমন কোনো অঘটন কেউ স্বপ্নেও ভাববে না। নেইমারের ব্রাজিলে টিকে আছে বাংলাদেশেরও বিশ্বকাপ।