অনলাইন ডেস্ক : রেহাম খানের বিয়ে হয়েছিল ইমরান খানের সঙ্গে। পনেরো মাস পরেই ভেঙে যায় সেই বিয়ে।
তাকে পুঁজি করেই বই লিখতে শুরু করেছিলেন রেহাম খান। কানাঘুষো চলছিল, মূলত ইমরানকে কাদা মাখাতেই প্রতিপক্ষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আসরে নেমেছিলেন রেহম। কিন্তু বইয়ের ভিতরে যে এই মাত্রার গোলাবারুদ থাকতে পারে, তা বোধ হয় ইমরানের শত্রুও ভাবতে পারেনি।
রেহামের বইয়ের শিরোনামটি তার নিজের নামেই (‘রেহম খান’)। বইটির পাণ্ডুলিপি সামনে আসতেই বিস্ফোরণ। ইতিমধ্যেই চারদফা নোটিশ ধরানো হয়েছে রেহমকে। নোটিশদাতাদের নাম শুনলে চক্ষু চড়কগাছে উঠবে। রেহমের প্রথম স্বামী লিয়াজ রহমান, ব্রিটিশ ব্যবসায়ী সৈয়দ জুলফিকার বুখারি, পিটিআই মিডিয়া কো-অরডিনেটর অনিলা খ্বাজা তো রয়েছেনই, রেহমকে নোটিশ দিয়েছেন পাকিস্তানের হার্টথ্রব প্রাক্তন পেস বোলার ওয়াসিম আকরাম।
কিন্ত কী আছে ওই বইয়ে, কী বলছেন রেহাম , যা কাঁপিয়ে দিয়েছে সাত সমুদ্র তেরো নদী?
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বইটির ৪০২ এবং ৫৭২ নং পাতা দু’টি অনলাইনে ফাঁস হয়ে গিয়েছে, সেখানে ওয়াসিম আকরাম সম্পর্কে রেহাম দাবি করছেন, ওয়াসিম নাকি তাঁর স্ত্রীকে অন্য কালো চামড়ার পুরুষের সঙ্গে শুতে বাধ্য করতেন।
ওই প্রতিবেদনেই উঠে এসেছে বইটির ৪৬৪ নং পাতার বয়ান। সেখানে রেহামের দাবি ইমরান বুখারিনকে ব্যবহার করেছিলেন ব্রিটেনে, এক তরুণীর গর্ভপাতের কাজে। নিজের বইয়ে প্রথম স্বামী লিয়াজ রহমানকেও একহাত নিয়েছেন রেহম। তাকে ‘নিষ্ঠুর, নোংরা, হীন মানসিকতার’ বলেছেন তিন
বইটির প্রকাশিত হওয়ার আগেই মুখে মুখে এই তথ্য ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল পড়ে যায়। দাবি করা হয়, পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজ থেকে রেহমকে ভারতীয় মুদ্রার হিসেবে ৮৯ লক্ষ ৩ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে ইমরানকে কলঙ্কিত করার জন্য। রেহমকে ‘প্রি-অ্যাকশন ডিফামেটারি প্রোটকল’-এর চিঠিতে মানহানির অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
আপাতত, কতটুকু ধামাচাপা দেওয়া যায় তা দেখার পালা।
ডেইলি সান অনলাইন